সীমাহীন এক ভালোবাসার গল্প💗  

কেমন আছেন সবাই? আশা করি সবাই ভালো আছেন এবং আশা করবো সবসময় ভালো থাকেন।
আজ আপনাদের সাথে শেয়ার করতে যাচ্ছি “সীমাহীন এক ভালোবাসার গল্প”। তো চলুন শুরু করা যাক আজকের এই গল্প।
ইট পাথরের একটা শহর। সেই শহরে একটা ছেলে আর একটা মেয়ে থাকতো। তারা দুজন একই স্কুলে পড়তো। মেয়েটি যখন অষ্টম শ্রেনিতে পড়ে তখন ছেলেটি নবম শ্রেনিতে। ছেলেটি হঠাৎ করে একদিন মেয়েটিকে খবর পাঠালো যে ছেলেটি তাকে পছন্দ করে। তাদের মধ্যে তখন কিন্তু কোন ভালোবাসা ছিলো না। তখন ছেলেটি শুধু মেয়েটিকে পছন্দ করতো। মেয়েটি শুনার পর কোন উত্তর পাঠায়নি, সে চুপচাপ ছিলো। ছেলেটিও চুপচাপ শুধু মেয়েটিকে পছন্দ করে যাচ্ছিলো। এভাবেই চুপচাপ কেটে গেল একটি বছর। মেয়েটি তখন নবম শ্রেনিতে আর ছেলেটি দশম শ্রেনিতে পড়ছে। মেয়েটি ছেলেটিকে দেখে একটু একটু হাসতো। ছেলেটির কাছে তখন ভালোই লাগতো। ছেলেটি তখনো জানতো না যে ভালোবাসা কী? ছেলেটি যখন ভালোবাসা শব্দটা শুনে তখন এই ভালোবাসাটা কী তা বোঝার জন্য সে বিভিন্ন ভাবে চেষ্টা চালায়। তার মনে প্রশ্ন জাগে এই ভালোবাসা কী? এটার অনুভূতি কেমন? সে বিভিন্ন ভাবে বুঝার চেষ্টা করে এবং সে ছেলেটি এক পর্যায়ে বুঝতে পারে যে ভালোবাসা কী। ধীরে ধীরে ছেলেটির মনে ভালোবাসার জন্ম হয় এবং তার মনে যতটুকু ভালোবাসা ছিলো সে মনের ভালোবাসাটুকু মেয়েটিকে দিয়ে দেয়। এভাবেই জন্ম হয় সে মেয়েটির প্রতি ছেলের ভালোবাসা। মেয়েটি তখনো চুপচাপ ছিলো, ছেলেটি মেয়েটিকে একটু একটু করে ভালোবাসতে শুরু করে। ছেলেটি মেয়ের কাছে খবর পাঠালো যে ছেলেটি তার সাথে কথা বলবে। মেয়েটি সময় করে একদিন কথা বলতে আসলো। তারা দুজন স্কুলের ক্লাস রুমে বসে বসে কথা বলছিলো। ছেলে মেয়েকে প্রশ্ন করলো যে “আপনি ভালোবাসা বলতে কী বুঝেন?” মেয়েটি বললো, “ভালোবাসা মানুষকে কাদায়, আমি কখনো প্রেম করবো না আপনি যদি চান তাহলে কিন্তু আমরা বন্ধু মতো থাকতে পারি” কারন মেয়েটি জানতো না ভালোবাসা কী। ছেলেটি বললো, “আমাদের রিলেশন সম্পর্কে কেউ জানতে পারবেনা আপনি শুধু একবার রাজি হয়ে যান”। হঠাৎ করে ক্লাসে শিক্ষক আসাতে মেয়েটি চলে গেলো। তারপর আবার কয়েক মাস দুজন চুপচাপ। ছেলেটি শুধু মেয়েটির পিছনে চুপচাপ ঘুরতে থাকতো। মেয়েটি যেখানে যেত ছেলেটিও সেখানে যেত। ছেলেটি ধর্য্য ধরে মেয়েটির পিছনে শুধু সময় দিয়ে যাচ্ছিল কারন ছেলেটি জানতো যে মেয়েটি একদিন না একদিন তার ভালোবাসা বুঝবেই, কারন ছেলেটি মেয়েটির চোখে তার প্রতি ভালোবাসা দেখেছিল। এভাবে কেটে যায় দুটি বছর। ছেলেটির এস এস সি পরিক্ষা চলে আসে। তখন ছেলেটির মন খারাপ ছিলো কারন, দুটি বছর ধরে সে একটা মেয়েকে সময় দিয়ে আসছে কিন্তু তারপরেও মেয়েটি ছেলের ভালোবাসা বুঝতে পারছেনা। এই ভেবে ছেলেটির খুব মন খারাপ ছিলো। ছেলেটি আবার মেয়েটির সাথে কথা বলার জন্য খবর পাঠালো। মেয়েটি যেদিন আসলো তার পরের দিন ছেলেটির প্রথম এস এস সি পরিক্ষা ছিলো। সেদিন ছেলেটি মেয়েটিকে ভালোবাসা কী তা বুঝিয়ে বললো। বলতে বলতে ছেলেটি প্রায় শেষ পর্যন্ত কেঁদে ফেললো। মেয়েটি বললো ” প্লিজ আপনি কাঁদবেন না”। তখন ছেলেটি তার কথা শেষ করার পরে মেয়েটি হাসি মুখে বললো “আপনার আর কিছু বলার আছে” ছেলে বললো, “না এখন আর বলার মতো কিছু নেই”। তারপর তারা দুজনেই চলে গেলো। সেদিনের পর থেকে মেয়েটির মনে ছেলেটির জন্য একটু একটু করে ভালোবাসার জন্ম হয়। কারন সে তার আগে জানতো না ভালোবাসা কী ছেলেটি তাকে সবকিছু বুঝিয়ে বলার পর সে বুঝতে পারে এবং ছেলেটিকে মন থেকে ভালোবাসতে শুরু করে কিন্তু মেয়েটি ছেলেকে কিছুই বলেনা। কিছুদিন যাবার পর একদিন হঠাৎ করে মেয়েটি ছেলেকে ডেকে পাঠায়। ছেলেটি প্রথমে এসে মেয়েটিকে আবার রাজি হবার জন্য বলে ওঠে কিন্তু ছেলেটি জানতো না আজকে তার জন্য কী চমক রয়েছে। মেয়েটি হঠাৎ করে বলে উঠলো আমি রাজি। ছেলেটিতো বিশ্বাসই করতে পারছিলো না, তারপর মেয়েটি বললো, ” কিন্তু সবাই জানবে আমরা ফ্রেন্ড, আর আপনি কখনো আমাকে ছেরে চলে যেতে পারবেন না”। ছেলেটি বললো, “কখনোই আপনাকে ছেরে চলে যাবো না”। তারপর ছেলেটি মহা খুশি হয়ে নাচতে নাচতে বাড়ি চলে যায়। তারপর আবার তারা দুজন দেখা করলো এবং সেদিন দুজন দুজনকে “I love you” বলে। ছেলেটি বলে উঠে “তাহলেতো এখন তুমি করে বলা যায়।” মেয়েটি বললো “হুমমমমম”। সেদিন থেকে শুরু হলো তাদের এক নিঃশ্বার্থ ভালোবাসা। তাদের ভালোবাসা ছিলো সত্যি কারের ভালোবাসা যে ভালোবাসার কোনো শেষ প্রান্ত নেই।।।
তো এই গল্পটি আপনাদের কেমন লাগলো কমেন্ট বক্সে কমেন্ট করে জানাবেন।।।

1 মন্তব্যসমূহ

Give your opinion, please!

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

Give your opinion, please!

নবীনতর পূর্বতন