পছন্দ, ভালোবাসা ও প্রেম এই তিনটি কী? ভালোবাসার অনুভূতি কেমন? ভালোবাসলে কী হয়?
“ভালোবাসা” এই শব্দটি অনেকের কাছে খুব বিরক্তি কর আবার অনেকের কাছে ভালোবাসা শব্দটি ভালোই লাগে।আজ আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করতে যাচ্ছি ভালোবাসা কী? ভালোবাসার অনুভুতি কেমন? ভালোবাসলে কী হয়? পছন্দ, ভালোবাসা, প্রেম এই তিনটি জিনিস কী? তাই এই পোস্টটি পড়ার জন্য আপনাদের কাছে অনুরোধ রইলো।প্রথমে বলবো পছন্দ জিনিসটা নিয়ে। “পছন্দ” এই শব্দটা ছোট বড় সবাই বুঝে। পছন্দ, এটা আপনি যেকোনো কিছু যেমন, কোনো বস্তু, মানুষ, প্রানী ইত্যাদিকে করতে পারেন। আপনার কোনো প্রিয় জিনিসটাকে বা কোনো মানুষকে। ধরুন আপনি পাহাড় দেখতে পছন্দ করেন, সেটা হবে পছন্দ। পছন্দ করলেই কিন্তু ভালোবাসা হয়ে যায়না। আপনি যদি রাস্তা দিয়ে হেটে যান তাহলে যেকোনো কিছুই আপনার পছন্দ হতে পারে। তাই পছন্দ করলেই যে ভালোবাসা হয়ে যাবে তা কিন্তু না আর পছন্দের সাথে ভালোবাসাকে মিলিয়ে ফেললে হবেনা।“ভালোবাসা” এই শব্দটার সাথে কম বেশি সবাই পরিচিত। বেশিরভাগ মানুষ ভালোবাসা মানে বুঝে শুধু কষ্ট। যে কখনো কাউকে ভালোবাসেনি সেও কিন্তু যানে ভালোবাসা মানে কষ্ট। আসলে ঠিক তা না। “ভালোবাসা” আলাদা বা নির্দিষ্ট কোনো সংঙ্গা হয়না। ভালোবাসা অনেক রকম হতে পারে যেমন, মা-বাবার ভালোবাসা, বোনের ভালোবাসা, আত্নীয়-স্বজনের ভালোবাসা, বন্ধুর ভালোবাসা, প্রেমিক-প্রেমিকার ভালোবাসা ইত্যাদি ইত্যাদি। প্রেমিক-প্রেমিকার ভালোবাসার কথা বলতে গেলে ভালোবাসা জিনিসটা বর্তমান যুগে একটা খেলার পুতুল হয়ে গেছে। কিন্তু যারা ভালোবাসা জিনিসটা নিয়ে খেলা করে তারা যানেনা যে ভালোবাসা জিনিসটা কত পবিত্র একটা জিনিস। এই ভালোবাসার স্থান কত উপরে। তারা যানে যে “I love you” বা “আমি তোমাকে ভালোবাসি” বললেই ভালোবাসা হয়ে যায়। কিন্তু তারা যানে না যে কাউকে ভালোবাসতে হলে দুটি পবিত্র মনের প্রয়োজন।ভালোবাসাটা এখন সময় পার কারার বিনোদন হয়ে উঠেছে। ভালোবাসার দাম সবাই দিতে পারে না। আবার “I Love You” বলে পাগলের মতো ভালোবাসলে হবেনা। ভালোবাসা মধ্যে সম্মান, শ্রদ্ধা, ভক্তি থাকতে হবে। একটা আশা, ভরসা, নির্ভরতা, স্বপ্ন, বিশ্বাস নিয়ে ভালোবাসা তৈরি হয়। একটা সত্যিকারের ভালোবাসা হঠাৎ করেই সৃষ্টি হয় না। মনে মধ্যে বিন্দু বিন্দু করে সৃষ্টি হয় একটা সত্যি কারের ভালোবাসা। এই বিন্দু বিন্দু করে গড়ে ওঠা ভালোবাসা সহজে শেষ হয়না।“ছোট ছোট বালু কনাবিন্দু বিন্দু জলগড়ে তোলে মহাদেশসাগর ও অতল”একটা সত্যিকারের ভালোবাসা পেতে গেলে অনেক সাধনা করেতে হয়। “I love you” বললেই সেই সত্যিকারের ভালোবাসা হয়ে যায় না। আর সেই সত্যি কারের ভালোবাসা সবার কপালেও থাকে না। এই যে অনেকেই কিছুদিন সম্পর্ক করার পর ছারাছারি হয়ে যায়, তা কেন হয়? তাদের মধ্যে কী সত্যিকারের ভালোবাসাটা ছিলো না? তাদের যদি প্রশ্ন করা হয় যে,”আপনাদের মধ্যে কী সত্যিকারের ভালোবাসা ছিলোনা”। তারা বলবে “হ্যাঁ, আমাদের মধ্যে সত্যিকারের ভালোবাসা ছিলো”। তাহলে আপনাদের মধ্যে যদি সত্যি কারের ভালোবাসা থেকে থাকে আপনাদের ছারাছারি (ব্রেকআপ) হয় কেন? তখন এই উত্তরটা তারা দিতে পারবেনা। আসলে সত্যি কারের ভালোবাসার মধ্যে কখনো ছারাছারি (ব্রেকআপ) হয়না। একটা সত্যিকারের ভালোবাসার মধ্যে সৃষ্টিকর্তারও আশীর্বাদ থাকে। শুধু যে ভালোবাসবো তা কিন্তু না, ভালোবাসাটাকে সম্মান করতে হবে শ্রদ্ধা করতে হবে। যে ভালোবাসার মধ্যে বিশ্বাস থাকে না সেই ভালোবাসা চিরস্থায়ী হয়না। আর এই ভালোবাসার মধ্যে বড় জিনিসটা হলো বিশ্বাস। একটা ভালোবাসাই পারে খারাপ পথ গামী একটা মানুষকে সঠিক পথে নিয়ে আসতে। আবার একটা ভালোবাসাই পারে একটা ভালো মানুষকে বি পথে ঠেলে দিতে। তাই “ভালোবাসা” পবিত্র জিনিসটাকে ছোট করে দেখবেন না। যদি কাউকে কখনো ভালোবাসতে হয় তাহলে আগে নিজেকে ভালোবাসবে। আমাদের মনের মা-বাবা, ভাই, বোন সবার ভালোবাসা পাওয়ার পরেও একটা খালি জায়গা থাকে, যা পুরোন করে আমাদের এই ভালোবাসা।“প্রেম” এই শব্দটার সাথে অনেকেই পরিচিত আছে। প্রেম এই জিনিসটা দুটি মন নিয়ে গঠিত হয়। ধরুন আপনি পাহাড় বা সমুদ্র দেখতে পছন্দ করেন সেটা হবে পছন্দ। আপনি আকাশ ভালোবাসেন,সমুদ্র-সৈকত ভালোবাসেন কিন্তু আকাশ বা সমুদ্র-সৈকত কী আপনাকে ভালোবাসে? আকাশ বা সমুদ্র-সৈকত আপনার প্রতি সে অনুভূতি বোঝাতে পারবেনা। তাই সেটা হবে সমুদ্রের প্রতি আপনার ভালোবাসা। কিন্তু আপনি যদি কাউকে মন দিয়ে ভালোবাসেন আর সে ব্যাক্তিটিও আপনাকে মন দিয়ে ভালোবাসে তাহলে সেটাই হবে “প্রেম”।আশা করি ওপরের এই সংক্ষিপ্ত কথার মধ্যে বুঝে নিতে পেরেছেন।আপনার কাছে আমার এটা অনুরোধ থাকবে যে আপনারা কেউই ভালোবাসা নিয়ে খেলবেন না মজা করবেন না। কারন মানুষ পৃথিবীর সব কষ্ট সহ্য করতে পারে কিন্তু ভালোবাসার কষ্ট সহ্য করতে পারেনা। আপনি কাউকে সরল মনে ভালোবেসে দেখবেন, আপনি যে সুখের অনুভূতি পাবেন তা অন্য কেউর সাথ মজা (ফান) করে পাবেন না। কারন সত্যিকারের ভালোবাসার সুখের অনুভূতি অন্য রকম যা হাজারো মেয়ে/ছেলের সাথে মজা (ফান) করে পাবেন না। তাই অন্যের জীবন নিয়ে খেলা করবেন না। একজন মানুষের জীবন নিয়ে খেলা করার অধিকার আরেকজনের নেই। মানুষের জীবনের একটা শেষ প্রান্ত রয়েছে। কিন্তু একটা সত্যিকারের ভালোবাসার কোনো শেষ প্রান্ত নেই। কখনো কাউকে আবেগের ভালোবাসা দিবেন না, কারন আবেগের ভালোবাসা ক্ষনস্থায়ী আর মনের ভালোবাসা চিরস্থায়ী।আপনারা আরেকটি কথা মনে রাখবেন, যদি একটি পাথরের মধ্যে কখনো কোনো ফুল ফুটাতে পারেন তাহলে সেই ফুল সারাজীবন শুধু আপনাকেই সুবাস দিবে আর অন্য কাউকে নয়।।।
“ভালোবাসা” এই শব্দটি অনেকের কাছে খুব বিরক্তি কর আবার অনেকের কাছে ভালোবাসা শব্দটি ভালোই লাগে।
আজ আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করতে যাচ্ছি ভালোবাসা কী? ভালোবাসার অনুভুতি কেমন? ভালোবাসলে কী হয়? পছন্দ, ভালোবাসা, প্রেম এই তিনটি জিনিস কী? তাই এই পোস্টটি পড়ার জন্য আপনাদের কাছে অনুরোধ রইলো।
প্রথমে বলবো পছন্দ জিনিসটা নিয়ে। “পছন্দ” এই শব্দটা ছোট বড় সবাই বুঝে। পছন্দ, এটা আপনি যেকোনো কিছু যেমন, কোনো বস্তু, মানুষ, প্রানী ইত্যাদিকে করতে পারেন। আপনার কোনো প্রিয় জিনিসটাকে বা কোনো মানুষকে। ধরুন আপনি পাহাড় দেখতে পছন্দ করেন, সেটা হবে পছন্দ। পছন্দ করলেই কিন্তু ভালোবাসা হয়ে যায়না। আপনি যদি রাস্তা দিয়ে হেটে যান তাহলে যেকোনো কিছুই আপনার পছন্দ হতে পারে। তাই পছন্দ করলেই যে ভালোবাসা হয়ে যাবে তা কিন্তু না আর পছন্দের সাথে ভালোবাসাকে মিলিয়ে ফেললে হবেনা।
“ভালোবাসা” এই শব্দটার সাথে কম বেশি সবাই পরিচিত। বেশিরভাগ মানুষ ভালোবাসা মানে বুঝে শুধু কষ্ট। যে কখনো কাউকে ভালোবাসেনি সেও কিন্তু যানে ভালোবাসা মানে কষ্ট। আসলে ঠিক তা না। “ভালোবাসা” আলাদা বা নির্দিষ্ট কোনো সংঙ্গা হয়না। ভালোবাসা অনেক রকম হতে পারে যেমন, মা-বাবার ভালোবাসা, বোনের ভালোবাসা, আত্নীয়-স্বজনের ভালোবাসা, বন্ধুর ভালোবাসা, প্রেমিক-প্রেমিকার ভালোবাসা ইত্যাদি ইত্যাদি। প্রেমিক-প্রেমিকার ভালোবাসার কথা বলতে গেলে ভালোবাসা জিনিসটা বর্তমান যুগে একটা খেলার পুতুল হয়ে গেছে। কিন্তু যারা ভালোবাসা জিনিসটা নিয়ে খেলা করে তারা যানেনা যে ভালোবাসা জিনিসটা কত পবিত্র একটা জিনিস। এই ভালোবাসার স্থান কত উপরে। তারা যানে যে “I love you” বা “আমি তোমাকে ভালোবাসি” বললেই ভালোবাসা হয়ে যায়। কিন্তু তারা যানে না যে কাউকে ভালোবাসতে হলে দুটি পবিত্র মনের প্রয়োজন।ভালোবাসাটা এখন সময় পার কারার বিনোদন হয়ে উঠেছে। ভালোবাসার দাম সবাই দিতে পারে না। আবার “I Love You” বলে পাগলের মতো ভালোবাসলে হবেনা। ভালোবাসা মধ্যে সম্মান, শ্রদ্ধা, ভক্তি থাকতে হবে। একটা আশা, ভরসা, নির্ভরতা, স্বপ্ন, বিশ্বাস নিয়ে ভালোবাসা তৈরি হয়। একটা সত্যিকারের ভালোবাসা হঠাৎ করেই সৃষ্টি হয় না। মনে মধ্যে বিন্দু বিন্দু করে সৃষ্টি হয় একটা সত্যি কারের ভালোবাসা। এই বিন্দু বিন্দু করে গড়ে ওঠা ভালোবাসা সহজে শেষ হয়না।
“ছোট ছোট বালু কনা
বিন্দু বিন্দু জল
গড়ে তোলে মহাদেশ
সাগর ও অতল”
একটা সত্যিকারের ভালোবাসা পেতে গেলে অনেক সাধনা করেতে হয়। “I love you” বললেই সেই সত্যিকারের ভালোবাসা হয়ে যায় না। আর সেই সত্যি কারের ভালোবাসা সবার কপালেও থাকে না। এই যে অনেকেই কিছুদিন সম্পর্ক করার পর ছারাছারি হয়ে যায়, তা কেন হয়? তাদের মধ্যে কী সত্যিকারের ভালোবাসাটা ছিলো না? তাদের যদি প্রশ্ন করা হয় যে,”আপনাদের মধ্যে কী সত্যিকারের ভালোবাসা ছিলোনা”। তারা বলবে “হ্যাঁ, আমাদের মধ্যে সত্যিকারের ভালোবাসা ছিলো”। তাহলে আপনাদের মধ্যে যদি সত্যি কারের ভালোবাসা থেকে থাকে আপনাদের ছারাছারি (ব্রেকআপ) হয় কেন? তখন এই উত্তরটা তারা দিতে পারবেনা। আসলে সত্যি কারের ভালোবাসার মধ্যে কখনো ছারাছারি (ব্রেকআপ) হয়না। একটা সত্যিকারের ভালোবাসার মধ্যে সৃষ্টিকর্তারও আশীর্বাদ থাকে। শুধু যে ভালোবাসবো তা কিন্তু না, ভালোবাসাটাকে সম্মান করতে হবে শ্রদ্ধা করতে হবে। যে ভালোবাসার মধ্যে বিশ্বাস থাকে না সেই ভালোবাসা চিরস্থায়ী হয়না। আর এই ভালোবাসার মধ্যে বড় জিনিসটা হলো বিশ্বাস। একটা ভালোবাসাই পারে খারাপ পথ গামী একটা মানুষকে সঠিক পথে নিয়ে আসতে। আবার একটা ভালোবাসাই পারে একটা ভালো মানুষকে বি পথে ঠেলে দিতে। তাই “ভালোবাসা” পবিত্র জিনিসটাকে ছোট করে দেখবেন না। যদি কাউকে কখনো ভালোবাসতে হয় তাহলে আগে নিজেকে ভালোবাসবে। আমাদের মনের মা-বাবা, ভাই, বোন সবার ভালোবাসা পাওয়ার পরেও একটা খালি জায়গা থাকে, যা পুরোন করে আমাদের এই ভালোবাসা।
“প্রেম” এই শব্দটার সাথে অনেকেই পরিচিত আছে। প্রেম এই জিনিসটা দুটি মন নিয়ে গঠিত হয়। ধরুন আপনি পাহাড় বা সমুদ্র দেখতে পছন্দ করেন সেটা হবে পছন্দ। আপনি আকাশ ভালোবাসেন,সমুদ্র-সৈকত ভালোবাসেন কিন্তু আকাশ বা সমুদ্র-সৈকত কী আপনাকে ভালোবাসে? আকাশ বা সমুদ্র-সৈকত আপনার প্রতি সে অনুভূতি বোঝাতে পারবেনা। তাই সেটা হবে সমুদ্রের প্রতি আপনার ভালোবাসা। কিন্তু আপনি যদি কাউকে মন দিয়ে ভালোবাসেন আর সে ব্যাক্তিটিও আপনাকে মন দিয়ে ভালোবাসে তাহলে সেটাই হবে “প্রেম”।
আশা করি ওপরের এই সংক্ষিপ্ত কথার মধ্যে বুঝে নিতে পেরেছেন।
আপনার কাছে আমার এটা অনুরোধ থাকবে যে আপনারা কেউই ভালোবাসা নিয়ে খেলবেন না মজা করবেন না। কারন মানুষ পৃথিবীর সব কষ্ট সহ্য করতে পারে কিন্তু ভালোবাসার কষ্ট সহ্য করতে পারেনা। আপনি কাউকে সরল মনে ভালোবেসে দেখবেন, আপনি যে সুখের অনুভূতি পাবেন তা অন্য কেউর সাথ মজা (ফান) করে পাবেন না। কারন সত্যিকারের ভালোবাসার সুখের অনুভূতি অন্য রকম যা হাজারো মেয়ে/ছেলের সাথে মজা (ফান) করে পাবেন না। তাই অন্যের জীবন নিয়ে খেলা করবেন না। একজন মানুষের জীবন নিয়ে খেলা করার অধিকার আরেকজনের নেই। মানুষের জীবনের একটা শেষ প্রান্ত রয়েছে। কিন্তু একটা সত্যিকারের ভালোবাসার কোনো শেষ প্রান্ত নেই। কখনো কাউকে আবেগের ভালোবাসা দিবেন না, কারন আবেগের ভালোবাসা ক্ষনস্থায়ী আর মনের ভালোবাসা চিরস্থায়ী।
আপনারা আরেকটি কথা মনে রাখবেন, যদি একটি পাথরের মধ্যে কখনো কোনো ফুল ফুটাতে পারেন তাহলে সেই ফুল সারাজীবন শুধু আপনাকেই সুবাস দিবে আর অন্য কাউকে নয়।।।
Nice
উত্তরমুছুনReally great
উত্তরমুছুনএকটি মন্তব্য পোস্ট করুন
Give your opinion, please!