অবহেলা-২
অনিতা:কি কাজ??
আরিশা:তুই একটু ওর সাথে আমার পরিচয় করিয়ে দে না😞খুব ইচ্ছে হচ্ছে ওকে মনের সব কথা বলতে।
অনিতা:আরে না না,তুই কি বোকা নাকি??
আরিশা:কেনো??আমি আবার কি এমন করলাম??😰
অনিতা:তুই ওকে দেখ,কত্ত হ্যান্ডসাম।তুই ওকে এখন সব বলতে গেলে ও তোকে accept নাও করতে পারে।বরং তোকে দূরে ঠেলে দিবে।
আরিশা:তাও তো ঠিক।তাহলে কি করবো এখন??
অনিতা:আমার কাছে একটা বুদ্ধি আছে।যদি চাস তো তোকে বলবো।😒
আরিশা:কি বুদ্ধি??বল না।ওকে প্রপোজ করার জন্য কোনো দারুণ বুদ্ধি বুঝি??😃চল তাহলে...
অনিতা:আরে না না,ওসব এখন না।[নিজের অবস্থা দেখেছিস?বাদরের গলায় মুক্তোর মালা]আগে শুন আমার কথা।
আরিশা:তাড়াতাড়ি বল😊
অনিতা:তুই এখন ওর সামনে যাবিনা।আমি যাবো।আগে আমি আরোও ভাব জমাই ওর সাথে।তারপর একটু একটু করে তোর কথা বলবো।তখন আর ও তোকে ফিরাবেনা।তোর জন্য ওর মনে ফিলিংস জন্মাবো।
আরিশা:এরপর ও আমাকে accept করবে তো??😍😍আমাকে ভালবাসবে??
অনিতা:হুম,অবশ্যই।কিন্তু তুই আমাকে সাহায্য করা লাগবে।
আরিশা:কি ধরনের সাহায্য??
অনিতা:ওসব পরে বলবো।চল ক্লাসে যাই।
আরিশা:আচ্ছা চল😊।
[অনিতা রোজ কথা বলে যাচ্ছে রাজুর সাথে।রাজুর সাথে বেশ ভালই ভাব জমাচ্ছে।আর আরিশা অপেক্ষায় আছে সেই কাংখিত সময়ের।৭ দিন পর]
[অনিতা রোজ কথা বলে যাচ্ছে রাজুর সাথে।রাজুর সাথে বেশ ভালই ভাব জমাচ্ছে।আর আরিশা অপেক্ষায় আছে সেই কাংখিত সময়ের।৭ দিন পর]
আরিশা:কিরে আমার কথা কিছু বললি ওকে??শুনে কি বলল ও??😃
অনিতা:সবে তো ভাব জমেছে।দাঁড়ানা আরোও দুটো দিন যেতে দে।আচ্ছা একটা কাজ কর।
আরিশা:কি কাজ??😃😃বলনা বলনা কি কাজ??
অনিতা:তুই তো খুব ভালো ছবি আঁকিস।
আরিশা:হুম,তো?
অনিতা:সেদিন দেখলাম তোর বইয়ের ভাজে রাজুর একটা ছবি অাঁকা।তুই এরকম আরোও কয়টা ছবি এঁকে দে।আমি সেগুলো রাজুকে দেখাবো আর বলবো তুই এঁকেছিস।তখন ও তোর ব্যাপারে জানতে চাইবে।আর আমি তোর প্রশংসা করা শুরু করবো।
আরিশা:এরপর ও আমাকে ভালবাসবে বল😊
অনিতা:না বেসে উপায় আছে??
আরিশা:আচ্ছা আমি কালকেই ছবি এঁকে এনে দিবো।😍
[আরিশা সারারাত না ঘুমিয়ে রাজুকে ভেবে ভেবে অনেক ছবি এঁকেছে।আর কল্পনা করেছে অনেক কিছু।রাজুকে নিয়ে ভাবতে ভাবতেই টেবিলে মাথা রেখে ঘুমিয়ে যায় আরিশা।হুইল চ্যায়ারটা কাছে না থাকায় আর খাট অবধি যেতে পারেনি।পরের দিন সকালে...]
[আরিশা সারারাত না ঘুমিয়ে রাজুকে ভেবে ভেবে অনেক ছবি এঁকেছে।আর কল্পনা করেছে অনেক কিছু।রাজুকে নিয়ে ভাবতে ভাবতেই টেবিলে মাথা রেখে ঘুমিয়ে যায় আরিশা।হুইল চ্যায়ারটা কাছে না থাকায় আর খাট অবধি যেতে পারেনি।পরের দিন সকালে...]
অনিতা:কিরে আরিশা চোখ মুখের এই হাল কেন??মনে হচ্ছে যেন কাল সারারাত মশা মেরে দেশ উদ্ধার করেছিস!
আরিশা:আরে না না!!এই ছবিগুলো এঁকেছি😊
অনিতা:কই দেখি দেখি!!ওমা!!😱😱😱এতো হুবহু রাজু😲
আরিশা:😊😊
অনিতা:থাক আর লজ্জা পেতে হবেনা।দে ছবিগুলো দে।আমি তোর আশিককে দেখিয়ে আসি।
আরিশা:এই শুন না।
অনিতা:বল।
আরিশা:ওর জন্য এই মালাটা গেঁথেছি।ওকে দিয়ে দিবি একটু??
অনিতা:আচ্ছা দে।
👉তৃতীয় পার্ট পড়তে এখানে ক্লিক করুন⇒
💓লিখেছেন- সানজিদা
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
Give your opinion, please!