অসমাপ্ত ভালোবাসা 💓
মেয়ে: হ্যালো, কে বলছেন?
ছেলে: দিয়া আমি আকাশ বলছি। প্লিজ ফোনটা কেটো না দিয়া, এটাই তোমাকে করা আমার শেষ ফোন কল।
মেয়ে: ওফফ্ তুমি আবার নতুন নাম্বার দিয়ে ফোন দিয়েছ। তোমাকে আর কত বলতে হবে আমাদের মধ্যে যে সম্পর্ক ছিলো সব শেষ, তোমার কী লজ্জা বলতে কিছু নেই? নির্লজ্জ পশুর মতো আমাকে আর কত জালাবে।
ছেলে: আর কখনো জালাবো না। শুধু শেষ বারের জন্য তোমাকে একটি বার দেখতে চাই। একটু ছাদে আসবে প্লীজ। আমি নিচ থেকে তোমাকে একবার দেখেই চলে যাবো।
মেয়ে: পারবোনা, কাল আমার বিয়ে তাই এতো মায়া বাড়িয়ে কোনো লাভ নেই আর তোমাকে দেখবার কোনো ইচ্ছে নেই। আমাকে এবার একটু রেহাই দাও প্লীজ। আর কখনো আমার সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করো না আর এরপরেও যদি তুমি আমাকে কখনো ফোন করো তাহলে আমার মরা মুখ দেখবে।
ছেলে: আচ্ছা, আর কখনো ফোন করবো না, আর কখনো জালাবো না তুমি ভালো থেকো, তবে একটা কথা বলে রাখি দিয়া, এখন না হোক কোননা কোনো একদিন এক অজানা মায়া তোমাকে আমার কাছে একবারের জন্য হলেও নিয়ে আসবে। সেদিন কিন্তু তুমি না এসে থাকতে পারবে না।
মেয়ে: যতসব ফালতু কথা, bay.
বৌ সেজে বসে আছে দিয়া মনের মাজে হাজারো রঙিন স্বপ্ন। কিন্তু এতো খুশির মাঝেও যেন দিয়ার মনে কোনো এক কোন জুড়ে বিষন্নতা জমা হয়ে আছে। তবে সে কী সত্যি সত্যি ভারোবেসে ফেলেছে আকাশকে। না না এটা হতেই পারে না। আকাশ তো জাস্ট টাইম পাস ছিলো।
দিয়ার প্রথম ভালোবাসাতো সুভ ছিলো। আর সেই সুভই যখন দিয়াকে ছেরে সুন্দরী কোটিপতির মেয়েকে পেয়ে বিয়ে করে নিলো তখন শুভকে ভুলে থাকর জন্যইতো দিয়া আকাশের মতো মধ্যবিত্ত ছেলের সাথে টাইম পাস করেছিলো।
আজ দিয়ার াাানেক বড়ো ঘরে বিয়ে ঠিক হয়েছে। তাহলে সেও কেন সুভর মতো স্বার্থপর হবে না। তাছারা শুভকে তো দেখাতে হবে যে দিয়া কম নয় দেখিয়ে দিতে হবে সে সুভর চেয়েও অনেক ভালো স্বামী পেয়েছে।
শুভ দিয়ার মন ভেঙেছে, তাইতো সে ভাঙা মনটাকে সমলাতে আকাশকে ব্যবহার করেছে। এখন আকাশ যদি কষ্ট পায় এখানে দিয়ার কিছুই করার নেই। সুভ যেমন স্বার্থের জন্য দিয়াকে ছেরে চলে গেছে তেমনি দিয়াও স্বার্থের লোভে আকাশকে ছেরে দিবে। এটাইতো পৃথিবীর নিয়ম।
যাই হক বিয়ের লগ্ন পেরিয়ে যাচ্ছে। বরপক্ষ এখনো আসেনি। দিয়া অধির আগ্রহে সেজেগুজে বসে আছে সাতপাকে বাধা পরার জন্য। এমন সময় দিয়ার কানে খবর এলো তার বিয়ে আজ হবে না। বরের এক প্রিয় বন্ধু নাকি এইমাত্র মারা গেছে। দিয়ার হবু বর সেখানে গেছে। দিয়া মনে মনে ভাবছে।
"ধুর বন্ধুটা মরারো সময় পেলো না ঠিক বিয়ের দিনই মরতে হলো।"
এরপর দিয়া ফোনটা হতে নিয়ে তাকাতেই চমকে গেলো। তারপর আকাশের বাড়ির উদ্দেশ্যে পাগলের মতো দৌড়াত লাগলো আর চিৎকার করে বলতে লাগলো –
"আকাশ আমাকে ক্ষমা করে দাও, প্লীজ, কথা দিলাম আর কখনো তোমার ফোনে বিরক্ত হবো না, সারা জীবন তোমার হয়ে থাকবো আমি, আমাকে ছেরে যেওনা আকাশ।"
আজ পাঁচ বছর ধরে দিয়া পাগলা গারদে আছে। আজও সে একা হলে চিৎকার করে আকাশকে ডাকতে থাকে আর বলতে থাকে, "আকাশ তুমি ফিরে আসো প্লীজ আমি তোমায় অনেক ভালোবাসি আকাশ আর কখনো তোমাকে কষ্ট দেবোনা আকাশ। প্লীজ তুমি ফিরে আসো আকাশ প্লীজ।"
এটাই ভাবছেনতো যে দিয়া হঠাৎ পাগল কেনো হয়ে গেলো। কারন সেদিন দিয়ার ফোনে আকাশের একটা মেসেজ এসেছিলো আর সেই মেসেজে লেখা ছিলো–
"আনেক ভালোবেসেছিম তেমায়, হাজারো স্বপ্ন দেখেছিলাম তোমায় নিয়ে। ভেবেছিলাম তোমার হৃদয় থেকে সমস্ত দুঃখ কেরে নিয়ে আমার হৃদয়ের সকল সুখ তোমাকে দিয়ে দিবো, তোমায় সুখি করবো। কিন্তু পারিনি, পারিনি তোমাকে ধরে রাখতে, কারন স্বপ্ন পূরনের আগেই যে তোমার বিয়ে ঠিক হয়ে গেলো আর তুমি আমার সাথে যোগাযোগ বন্ধ করে দিলে। কিন্তু তোমার সাথে বিয়ে ঠিক হবার ছেলেটি ছিলো আমার এক অনেক কাছের বন্ধু যাকে আমি একসময় রক্ত দিয়ে মৃত্যুর মুখ থেকে বাচিয়ে এনেছিলাম। সে আমাকে খুব ভালোবাসতো এবং আমাকে খুব বিশ্বাস করতো। আমি চাইলেই তাকে সব কিছু বলে দিয়ে তোমার বিয়ে ভেঙ্গে দিতে পারতাম। তবে আমি জানি জোর করে সব কিছু হলেও ভালোবাসা হয় না। কিন্তু আমি পাগল তোমাকে এতোটাই ভালোবেসে ফেলেছি যে তোমাকে ছারা তোমার ভালোবাসা ছারা বেঁচে থাকাটা আমার পক্ষে অসম্ভব ছিলো। তাই একটা সময় বাধ্য হয়ে সিদ্ধান্ত নিয়েই ফেললাম যে জীবনটাই শেষ করে দিবো এবং এই ভেবে উপারে গিয়ে খুশি থাকবো যে তোমার ভালোবাসা আমি না পেলেও আমার রক্ত যার শরীরে আছে সেতো পাবে। আমার রক্তবিন্দু গুলো তার শরীরের মধ্য দিয়ে তোমার ভালোবাসা উপলব্ধি করতে পারবে আমি এতেই খুশি। কিন্তু তোমাকে একটি বার শেষ দেখা দেকতে চেয়েছিলাম। কিন্তু মরার আগেও তুমি সেই আসাটাও পূরন করতে দিলে না। তাতে কোনো দুঃখ নেই আমার। জীবিত অবস্থায় না পারলেও মরার পরে না হয় আমার লাশটা তোমাকে শেষ দেখাটা দেখে নিবে। তোমাকেতো আসতেই হবে। এখন ভালোবাসার টানে নাইবা আসলে কিন্তু তখন আগরবাতির ঘ্রানে হলেও তুমি আসবে। আমি না হয় সেই অপেক্ষাতেই চিরো বিদায় নিলাম। তুমি ভালো থেকো, Goob bay.
শুভ দিয়ার মন ভেঙেছে, তাইতো সে ভাঙা মনটাকে সমলাতে আকাশকে ব্যবহার করেছে। এখন আকাশ যদি কষ্ট পায় এখানে দিয়ার কিছুই করার নেই। সুভ যেমন স্বার্থের জন্য দিয়াকে ছেরে চলে গেছে তেমনি দিয়াও স্বার্থের লোভে আকাশকে ছেরে দিবে। এটাইতো পৃথিবীর নিয়ম।
যাই হক বিয়ের লগ্ন পেরিয়ে যাচ্ছে। বরপক্ষ এখনো আসেনি। দিয়া অধির আগ্রহে সেজেগুজে বসে আছে সাতপাকে বাধা পরার জন্য। এমন সময় দিয়ার কানে খবর এলো তার বিয়ে আজ হবে না। বরের এক প্রিয় বন্ধু নাকি এইমাত্র মারা গেছে। দিয়ার হবু বর সেখানে গেছে। দিয়া মনে মনে ভাবছে।
"ধুর বন্ধুটা মরারো সময় পেলো না ঠিক বিয়ের দিনই মরতে হলো।"
এরপর দিয়া ফোনটা হতে নিয়ে তাকাতেই চমকে গেলো। তারপর আকাশের বাড়ির উদ্দেশ্যে পাগলের মতো দৌড়াত লাগলো আর চিৎকার করে বলতে লাগলো –
"আকাশ আমাকে ক্ষমা করে দাও, প্লীজ, কথা দিলাম আর কখনো তোমার ফোনে বিরক্ত হবো না, সারা জীবন তোমার হয়ে থাকবো আমি, আমাকে ছেরে যেওনা আকাশ।"
আজ পাঁচ বছর ধরে দিয়া পাগলা গারদে আছে। আজও সে একা হলে চিৎকার করে আকাশকে ডাকতে থাকে আর বলতে থাকে, "আকাশ তুমি ফিরে আসো প্লীজ আমি তোমায় অনেক ভালোবাসি আকাশ আর কখনো তোমাকে কষ্ট দেবোনা আকাশ। প্লীজ তুমি ফিরে আসো আকাশ প্লীজ।"
এটাই ভাবছেনতো যে দিয়া হঠাৎ পাগল কেনো হয়ে গেলো। কারন সেদিন দিয়ার ফোনে আকাশের একটা মেসেজ এসেছিলো আর সেই মেসেজে লেখা ছিলো–
"আনেক ভালোবেসেছিম তেমায়, হাজারো স্বপ্ন দেখেছিলাম তোমায় নিয়ে। ভেবেছিলাম তোমার হৃদয় থেকে সমস্ত দুঃখ কেরে নিয়ে আমার হৃদয়ের সকল সুখ তোমাকে দিয়ে দিবো, তোমায় সুখি করবো। কিন্তু পারিনি, পারিনি তোমাকে ধরে রাখতে, কারন স্বপ্ন পূরনের আগেই যে তোমার বিয়ে ঠিক হয়ে গেলো আর তুমি আমার সাথে যোগাযোগ বন্ধ করে দিলে। কিন্তু তোমার সাথে বিয়ে ঠিক হবার ছেলেটি ছিলো আমার এক অনেক কাছের বন্ধু যাকে আমি একসময় রক্ত দিয়ে মৃত্যুর মুখ থেকে বাচিয়ে এনেছিলাম। সে আমাকে খুব ভালোবাসতো এবং আমাকে খুব বিশ্বাস করতো। আমি চাইলেই তাকে সব কিছু বলে দিয়ে তোমার বিয়ে ভেঙ্গে দিতে পারতাম। তবে আমি জানি জোর করে সব কিছু হলেও ভালোবাসা হয় না। কিন্তু আমি পাগল তোমাকে এতোটাই ভালোবেসে ফেলেছি যে তোমাকে ছারা তোমার ভালোবাসা ছারা বেঁচে থাকাটা আমার পক্ষে অসম্ভব ছিলো। তাই একটা সময় বাধ্য হয়ে সিদ্ধান্ত নিয়েই ফেললাম যে জীবনটাই শেষ করে দিবো এবং এই ভেবে উপারে গিয়ে খুশি থাকবো যে তোমার ভালোবাসা আমি না পেলেও আমার রক্ত যার শরীরে আছে সেতো পাবে। আমার রক্তবিন্দু গুলো তার শরীরের মধ্য দিয়ে তোমার ভালোবাসা উপলব্ধি করতে পারবে আমি এতেই খুশি। কিন্তু তোমাকে একটি বার শেষ দেখা দেকতে চেয়েছিলাম। কিন্তু মরার আগেও তুমি সেই আসাটাও পূরন করতে দিলে না। তাতে কোনো দুঃখ নেই আমার। জীবিত অবস্থায় না পারলেও মরার পরে না হয় আমার লাশটা তোমাকে শেষ দেখাটা দেখে নিবে। তোমাকেতো আসতেই হবে। এখন ভালোবাসার টানে নাইবা আসলে কিন্তু তখন আগরবাতির ঘ্রানে হলেও তুমি আসবে। আমি না হয় সেই অপেক্ষাতেই চিরো বিদায় নিলাম। তুমি ভালো থেকো, Goob bay.
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
Give your opinion, please!