মেঘ-মিলন ।। সমাপ্ত পর্ব
গাজীপুর মহাসড়কের একটা পাবলিক বাস থেকে মুন্নী আর তার হাজবেন্টকে আটক করেছে RAB।
কেননা মহিলাটির মোবাইলের গুগুল ড্রাইভে যে ভিডিওটি ছিলো তা মুন্নি আর তার হাজবেন্টের। পাঁচজনকে এক সঙ্গে জিজ্ঞেসা বাদ করা হবে এখন।আমি আর আনাস সাইডে দাঁড়িয়ে আছি। অফিসারের উপর দায়িত্বটি ছেড়ে দিয়েছি। ভিডিওটি একটা ল্যাপটপে তাদের সামনে ওপেন করা হলো। দুজনেই হন্তদন্ত করে আমাদের বাড়ি থেকে বের হচ্ছিলো। আর ঘনঘন আশেপাশে তাকাচ্ছিলো। এক পর্যায়ে তাদের দৃষ্টি ক্যামরা বরাবর হয় সেখানেই ভিডিওর সমাপ্তি।
অফিসার মুন্নির দিকে এগিয়ে গিয়ে বললো,
--ঐ বাড়িতে তুমি গিয়েছিলে কেন?
--ফুপি নিয়ে গিয়েছিলো।
আম্মু চেচিয়ে বললো,
--আমিতো তোকে আবার আমার সাথে নিয়ে এসেছিলাম।
আমি তাদের দিকে এগিয়ে গিয়ে বললাম,
--ওয়েট,ওয়েট, আপনি বলুন ওনাকে কেন আপনার সাথে ঐ বাড়িতে নিয়ে গিয়েছিলেন এবং আপনিই বা এতো বছর পর কেন গিয়েছিলেন?
আম্মু এবার বিষন্ন মনে বললো,
--এতোগুলো বছর পর নিজের মনে অনুতপ্ত জাগে। আমার মনে হচ্ছিলো আমি পৃথিবীর সব থেকে বড় ভুল করেছি।যদিও মেঘের জন্য সব সময় মন খারাপ থাকতো।আমার ভুলের জন্য মেঘ ছোট বেলা থেকেই কারো ভালোবাসা আদর স্নেহ পায়নি। রাজনৈতিক নেশায় আমি তখন সেগুলো দেখার সময় পাইনি।আমি অন্ধহয়ে ছিলাম। আমার মনে অনুশোচনা আসতে আসতেই সময় পেরিয়ে যায়। মেঘ কোথায় জেন চলে যায়। ওর বাবাও আমাকে কোনোদিন ওর ঠিকানা দেয়নি। আমি প্রায় ১০ বার মেঘের আব্বুর কাছে আমার ভুলের ক্ষমা চাইতে গিয়েছিলাম।কিন্তু তিনি তার সিদ্ধান্তে অনর ছিলেন। প্রতিবার আমাকে ফিরিয়ে দিয়েছিলেন।তবুও বেহায়া হয়ে যেতাম। শেষবার যখন ঢাকায় আসি তখন আমার সঙ্গে পি এ আর পিএস ছিলো, সাথে মুন্নিও ছিলো।সেদিন মেঘের আব্বু রাজি হয় আমাকে আবার মেনে নিবে। আমি সেদিন কতটা খুশি হয়েছিলাম বলে বুঝাতে পারবো না। মুন্নীকে সাথে নিয়ে খুলনার উদ্দেশ্যে রওনা হই। ইচ্ছে ছিলো রাজনীতি সব ছেড়ে দিবো।আগের মতো হয়ে যাবো। পথিমধ্যে মুন্নী বলে সে নাকি তার হাজবেন্টের সাথে দেখা করবে আর কিছুদিন থাকবে ঢাকায় । আমিও নিষেধ করিনি। মুন্নীকে নামিয়ে দিয়ে আমি চলে আসলাম খুলনায়।বিকেলের দিকে খবর আসে আসাদুজ্জামান আর নেই।
কথাটা বলতে গিয়ে আম্মু অঝরে কেঁদে ফেলে।
--তখন আর যেতে পারিনি।তার আগেই মাটি দিয়ে দেয়।
--আপনার কাছে পরে আসছি।
--মুন্নী মেডাম আপনি বলেন হাজবেন্ট সহ কেন ঐ বাড়িতে গিয়েছিলেন?
--এমনি।ফুফাকে দেখতে।
আমি আনাসকে ইশারা করলাম জিনিসটা নিয়ে আসার জন্য। একটু পর আনাস একটা যাতা নিয়ে আসলো,আমি মুন্নির হাতের একটা আঙ্গুল যাতাতে রেখে চাপ দিবো দিবো ভাব।
--সত্যি কথা বল না হয় কিন্তু তোর সামনেই তোর হাজবেন্ট আর তোর বাবাকে ক্রস ফায়ার করবো।
--আমি কিছু জানিনা।
এবার হালকা চাপ দিলাম। আঙ্গুলের একটু অংশে কেটে গেছে।
--বলছি বলছি।
--তাড়াতাড়ি বল,সময় নেই।
--ফুপির বিশাল সম্পত্তির উপর আমার বড় নেশা ছিলো।ফুপির তেমন কেউ ছিলো না সম্পত্তির ভাগ নেওয়ার জন্য তাই অনেক বছর নিশ্চিন্ত ছিলাম।হঠাৎ লক্ষ করলাম ফুফু আবার ঢাকায় যাওয়া আসা শুরু করেছে। আমাকে নিয়েও বেশ কয়েকবার গিয়েছে। আমার মনে ভয় ছিলো ফুফা আবার কখন ফুফুর এমন প্রস্তাবে হ্যা বলে ফেলে বসে।ওনি হ্যা বললেই ফুফুর সব সম্পত্তি হাত ছাড়া হয়ে যেতো। তখন ফুফাও ভাগ বসাতো,সাথে মেঘও আসতো। লাস্ট যেদিন আমাকে নিয়ে ফুপি ঢাকায় যায় সেদিনের ঘটনা । ফুফা আর ফুপির কথা আমি বরাবরের ন্যায় সেদিনও আড়াল থেকে শুনেছি। ফুপা রাজি হয় ফুপিকে আবার স্ত্রী হিসেবে মিনে নিতে। নতুন বিয়ের ডেইটও ফিক্স হয়ে যায়।আমি সেদিন বুদ্ধি করি ফুপাকে মেরে ফেলবো। ওনার বাড়ির কাজের লোকটাও সেদিন ছুটিতে ছিলো। এটাই ছিলো মোক্ষম সুযোগ। আমি আমার হাজবেন্টকে নিয়ে আবার ফুপার বাড়ি আসি।ফুপা বিছানায় সুয়ে ছিলেন। দুজন মিলে মুখে বালিশ চেপে ফুপাকে মেরে ফেলি।ফুপা রোগাক্রান্ত লোক ছিলেন
তাই দুজনের শক্তির সাথে পেরে উঠেনি।বাড়ির বাহির হয়ে দেখলাম ফুপির পিএ (মহিলাটি) ভিডিও করছে। সে এখানে আসলো কি করে মাথায় আসেনি
আম্মু বললো,
--ও হে মুন্নি নেমে যাওয়ার একটু পরই পিএ বলে আমারো ঢাকায় কাজ আছে। আমি সন্ধ্যায় পৌঁছে যাবো। তখন মন ভালো ছিলো,তাই না করিনি।
--মুন্নী বেগম আপনি বলেন তারপর কি করলেন।
--সেখানে ঝামেলা না বাদিয়ে মহিলাটিকে বিশাল অংকের টাকার লোভ দেখাই। সে বিষয়টি গোপন রাখেনি।সে আবার ফুপির পিএস কাছে বলে দেয়।দুজন মিলে আরো বেশি টাকা দাবি করে। তখন মনে মনে আরেকটা দুষ্ট বুদ্ধি বের করলাম, দুজনকে একটা নির্দিষ্ট যায়গায় থাকতে বলি। একটা রুমের ভিতর আরকি। আমি তাদের বলেছি আমি টাকা নিয়ে আসতেছি। দুজন আমার কথা মতো পরিত্যক্ত একটা রুমে বসে ছিলো। আমি বাহির থেকে দরজা লক করে দিয়ে শুধু ফুপিকে ডেকে আনলাম। সবাইকে জানানো যাবে না। দরজা খুলে দুজনকেই এক রুমে দেখা গেলো। ফুপি সেদিন দুজনকে চাকরি থেকে বের করে দেয়।যেহেতু মানসম্মানের বেপার তাই কারো কাছে প্রকাশ করতে নিষেধ করি।তারপর পরেও মহিলাটিকে মিথ্যা আশ্বাস দিলাম যে টাকা দিবো। সে রাজি হয়। আর এই দিক দিয়ে পুরুষটাকে বুঝালাম অন্য ভাবে। বললাম মহিলাটিকে মেরে ফেললে সব টাকা তুমি একা পাবে।টাকার লোভ হচ্ছে বড় লোভ। সে আমার কথা মতো মহিলাটিকে নিখুঁত ভাবে মেরে ফেলে।তারপরের দিন আমি অন্যলোক ভাড়া করে পুরুষটিকে মেরে আত্মহত্যা বলে চালিয়ে দেই। কিন্তু মোবাইলের ভিডিওটা আমি উদ্ধার করতে পারিনি।তাছাড়া কার কাছে ছিলো সেটাও জানতাম না। তাই ভুতের গল্প সাজাই। যেহেতু গ্রামের মানুষ ছিলো।অল্পতেই বিশ্বাস করে।দুই পরিবারই ভয়ে অন্যত্রে চলে যায়। অনেকদিন খুঁজাখুজির পর মহিলাটির মোবাইলটা পাওয়া গেলো।কিন্তু ভিডিওটি পাওয়া গেলো না।কে জানতো সে গুগুল ড্রাইভে রেখেছিলো। মোবাইলটি তখন দেয়ালের মাঝে ছুড়ে মারি। জেন কেউ ভবিষ্যতে এটাকে ব্যবহার করতে না পারে। সেদিন হয়তো ভালোভাবে ভাঙ্গা হয়নি।
উপস্থিত সবাই হতবম্ভ হয়ে আছি। এই মেয়ে এতোকিছু করলো। আমি সেখান থেকে উঠে তন্ময় আর বড় মামার বাধন খুলে দিলাম।দুজনকে টুপ হিসেবে রেখেছিলাম। জানতাম এদের ক্রশ ফায়ার করার কথা বললে আম্মু সব সত্যি কথা বলবে।
--মিস মারজানা বেগম, আপনার শাস্তি কি জানেন?
--(চুপচাপ)
--বাচ্চা চুরির অপরাধে তো জেলে যাবেন তার থেকেও বড় শাস্তি হবে নিজের সন্তানকে আপনি এতো কাছে পেয়েও স্পর্শ করতে পারবেন না। ও আপনার সন্তান নয়। সে হচ্ছে আপনার চুরি করা সন্তানের ভাই। আমি ছিলাম সেই হতভাগা যার মা তাকে আজো চিনতে পারেনি।
আম্মু চোখ বড় বড় করে তাকিয়ে আছে আমার দিকে।
--আর তাকিয়ে থেকে লাভ নেই। আপনার শাস্তি এটাই।বাবা আপনাকে ক্ষমা করলেও আমি কোনোদিন করবো না।
RAB এর একজন সদস্যের সাথে একটা তরুন মেয়ে প্রবেশ করলো।ওর চেহারা আমার চেহারার মতোই।আমি অনেকটা আঁতকে উঠলাম। আমার বোন তরী নয়তো?
আমি কিছু বলার মেয়েটি আমার পাশে এসে বললো,
--ভাইয়া এই মহিলাটির শাস্তি আমি নিজ হাতে দিবো। ওনাকে সারাজীবন সন্তান হীন থাকতে হবে।
--তুই তরী?
--হুম। সারাদেশে এই খবরটি ভাইরাল হওয়ার পর আমাকে যিনি এতোটা বছর সন্তানের মতো দেখেছে তিনি আমাকে সব বলেছে।আমি সোজা RAB এর অফিসে যাই। তাদের একজন আমাকে নিয়ে আসে।
--তোর শাস্তির উপরে আর কোনো শাস্তি হতে পারে না।অফিসার কি বলে যে আপনাকে ধন্যবাদ দিবো।প্লিজ ওনাদের সামনে থেকে নিয়ে যান।আর আমি আমার বাবার খুনের দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তির দাবি করছি।
--শাস্তি আপনার সামনেই হবে।
--অফিসার বেশি দেড়ি না করে মুন্নী আর তার হাজবেন্টের উপর এলোপাতাড়ি গুলি ছুড়তে থাকে। বড় মামা কিছু না বলে সুজা হয়ে দাড়িয়ে আছে। কিছু বলার নেই।এই সন্তানের জন্য কান্না করলেও বাবা জাতিকে অসম্মান করা হবে।
বেশ কিছুদিন পরঃ-
মেঘা কান্না করছে আমার সামনে বসে। আমি ডিরেক্ট না করে দিয়েছি তাকে।আমি তাকে বিয়ে করবো না। ওর মুখে যা এসেছে তাই বলে কাঁদতে কাঁদতে চলে গেছে।
বিয়ের দিনঃ-
বুড়ো হাজবেন্ট আর মেঘা একটু দূরে দূরে বসে আছে। কাজী সাহেব এসেছে বিয়ের কাজ শেষ করবে। আমি গালিব আনাস দাড়িয়ে আছি একটু দূরে।ও হে আনাস আর প্রমার প্রেম ইতিমধ্যে হয়ে গেছে। আমি বলতে হয়নি। প্রমা নিজেই প্রপোস করেছিলো। বিয়ের কাজ শুরু হবে এমন সময় থানার এসআই সাহেব আসলো সাথে একজন মহিলা। এসেইতো তোলপাড় কান্ড।মহিলাটি বুড়োর কালার চেপে ধরে বললো,
--আমাকে রেখে আরেকটা বিয়ে করা হচ্ছে?
--কে আপনি?
পুরো বাড়িতে হইচই পড়ে গেলো। এতো ভিরের মাঝে আমি মেঘার হাতটি ধরে একটু সাইডে নিয়ে আসলাম।
--তুই এখানে এসেছিস কেন?
--বিয়ের শুভেচ্ছা জানাতে ভুলে গিয়েছিলাম।
--শুভেচ্ছা জানানো হলে চোখের সামনে থেকে বিদেয় হ।
--হবো। তবে একা নয়। প্রেয়সীকে সঙ্গে নিয়ে।
--তোর সাথে গেলে তো? তুই একটা চিটার।
--এতো প্লেন করলাম তারপরেও আমি চিটার?
--তারমানে পেচটা তুই লাগিয়েছিস?
--আমার মাথায় এতো বুদ্ধি নেই।আমার সারা শরীরে শুধু বদ মেজাজ। এই বুদ্ধি হিটলাম আনাসের।চলো বেশি কথা না বলে।সময় নেই।
--আর কখনো ছেড়ে যাবিনাতো?
--আমি আগে কখনো ছাড়িনি, ছাড়বোও না।
--একটা শর্তে তোর সাথে যাবো।
--আবার কি?
--কি শর্ত?
--আমার শাশুড়ী আম্মাকে জেল থেকে বের করে আমাদের সাথে রাখতে হবে।
--ওনার পাপের শাস্তি অন্তত পেতে দাও?
--তাহলে যেদিন ওনার শাস্তি শেষ হবে আমি সেদিন যাবো।
-ওফ্।আচ্ছা ঠিক আছে। চলো।
৬ মাস পরঃ-
বিকেল বেলা বাগানে বসে ছিলাম। হঠাৎ আকাশে মেঘ জমেতে শুরু করলো। একটু পরই শুরু হলো মুসল ধারে বৃষ্টি। আমি দৌড়ে বাড়িতে গেলাম।সারা বাড়ি খুঁজে মেঘাকে কোথাও পেলাম না। দৌড়ে ছাঁদে গিয়ে দেখলাম সে দু হাত প্রসারির করে বৃষ্টির পানি স্পর্শ করছে। হঠাৎ মনে হলো সেদিনের স্বপ্নের কথা।আনাস এই স্বপ্নের ব্যাখ্যা দেশ বিদেশের অনেক অভিজ্ঞ জ্ঞানীদের মতামত নিয়ে বের করেছিলো।
"মেঘ, মেঘা ও আকাশের মেঘ তিনটা যেদিন প্রথম একসাথে হবে সেদিন হবে মেঘমিলন। তার স্মৃতি স্বরুপ হয়তো কোনো খুশির সংবাদ আসবে না হয় কোনো দুঃখের সংবাদ আসবে।আমি এই ব্যাখ্যাটি মানিনি। তবুও বাড়ির ছাদের দেয়াল ভেঙ্গে নতুন করে মেরামত করেছি।৮ ফিট উঁচু করেছি।।
আমার মনে হচ্ছে সেদিনের স্বপ্নটা বাস্তব দেখছি।কেন যেন মনে হচ্ছে দক্ষিণ পাশের দেয়ালটা ভাঙা। মানুষ যখন কোনো কিছু নিয়ে বেশি চিন্তা করে সেটা তার মাঝে মাঝে বাস্তব মনে হয় তার কাছে।
মেঘাকে দেখলাম উপরের দিকে তাকিয়ে দুই হাত প্রশারিত করে ছাঁদের সেই ভাঙ্গা অংশের দিকে যাচ্ছে। আমি মেঘা বলে দৌড়ে গেলাম তার কাছে। সে আবার আমাকে আসতে দেখে ভাঙ্গা অংশের দিকে দৌড় দিলো।
আমি মেঘা বলে চিৎকার দিয়ে আবার ঘুম থেকে উঠলাম।আমার চিৎকার শুনে মেঘাও হন্তদন্ত করে উঠে লাইট জ্বালালো। আমি এক বোতল পানি ডকডক করে খেয়ে ফেললাম। বোতলটা ছুড়ে মেরে মেঘাকে জাপটে ধরলাম। আমার পুরো শরীর কাঁপছে ভয়ে। মেঘার পুরো শরীরের স্পর্শ করছি। হ্যা এটাইতো আমার মেঘা।
--কি হয়েছে?
--আমার মাথা ছুঁয়ে ওয়াদা করো?
--কিসের?
--জীবনে কোনোদিন বৃষ্টিতে ভিজবে না?
--কেন?
--(মেঘাকে সব বললাম)
--হি,হি, ঠিক আছে পাগল। কখনো বৃষ্টিতে ভিজতে ছাঁদে যাবো না।
--কোথাও গিয়েও ভিজবে না।
--ঠিক আছে। এখন এদিকে আসো আমি ঘুম পারিয়ে দিচ্ছি।
আমি বাধ্য ছেলের মতো মেঘার বুকে মাথা রেখে ঘুমিয়ে যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছি।
--এই শুনছো?
--কি?
--বাহিরে বৃষ্টি হচ্ছে।
সত্যি বাহিরে বৃষ্টি হচ্ছে। আমি মেঘাকে শক্ত করে আমার বুকের সাথে মিশিয়ে ধরলাম।
--আরে আমি যাবো না তো কোথাও?
--বিশ্বাস করতে পারছি না।
--মেঘ আর মেঘা যদি মেঘমিলন ভয় পায় তাহলে বাকিরা কি করবে?
--বেশি কথা বললে এখন কিন্তু বেঁধে রাখবো।
--আহারে ভালোবাসা।
লেখক: নিহান আহমেদ আনিছ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
Give your opinion, please!